ময়মনসিংহের কোতোয়ালী পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩০ লাখ টাকা আত্বসাতের অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পুলিশ ২৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জব্দ করে। মঙ্গলবার ভোর রাতে তাদেরকে কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ থেকে এই দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো স্বপন মিয়া ও এহসানুল হক রাহাত। গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হলে তারা স্বিকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিকালে চ্যানেল এন্টাপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হাজী রফিকুল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানের বিশ্বস্থ ডিষ্টিবিউর স্বপন মিয়ার নামে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে ৮০ লাখ টাকার একটি চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করার জন্য পাঠান। স্বপন মিয়া ঐ ব্যাংক থেকে ৮০ লাখ টাকা উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠানের সেলস অফিসার মিজানুর রহমানের কাছে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে গাড়িতে তুলে দেন। এছাড়া বাকি ৩০ লাখ টাকাসহ স্বপন মিয়া তারই আরেক বন্ধু কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের এহসানুল হক রাহাতকে সাথে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় চ্যানেল এন্টাপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হাজী রফিকুল ইসলাম ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা নং ৬২ তাং ১৬/৯/২০ইং দায়ের করেন। ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, এ ঘটনায় ওসি মোঃ ফিরোজ ত্লাুকদার এই বিপুল পরিমাণ টাকা প্রতারণার দায়ে প্রাতরক স্বপন মিয়াকে দ্রুত গ্রেফতারে ১নং ফাড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ দুলাল আকন্দের নেতৃত্বে এসআই নিরুপম নাগ, এসআই মিনহাজ উদ্দিনসহ একটি শক্তিশালি টিমকে দায়িত্ব প্রদান করেন। উল্লেখিত টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক স্বপন মিয়ার অবস্থান নিশ্চিত করে সোমবার কুমিল্লার বাদুরতলায় অভিযান চালিয়ে স্বপন মিয়াকে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশ তার ঞেফাজত থেকে ২৬ ল টাকা উদ্ধার করতে সম হয়। তাৎনিক পুলিশদল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে স্বপনের আরেক সহযোগীর খবর পেয়ে তাকে সাথে নিয়ে ঐদিনই কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে অভিযান চালিয়ে এহসানুল হক রাহাতকে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশ রাহাতের কাছ থেকে ১ল ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সম হন। উল্লেখ্য স্বপন মিয়ার বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকার হবিরবাড়ির সিড স্টোর এলাকায়। তার পিতার নাম জুলফিকার। ওসি ফিরোজ তালুকদার আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত স্বপন মিয়া ও এহসানুল হক রাহাতকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হলে তারা স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী দিয়েছেন।